Ramadan Special Healthy Recipe– Fruit Chat রমজানের বিশেষ স্বাস্থ্যসম্মত রেসিপি –ফলের চাট

ফলের চাট

প্রিয় পাঠক, রমজানুল মুবারাক| রোজায় সবার শরীরের কি অবস্থা?

আগের পোস্ট রমজানে রোজা ভাঙ্গার স্বাস্থ্যসম্মত উপায় তে বলেছিলাম—“ অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের  এনজাইম, যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী হয়,তা বন্ধ থাকে| তাই সেই হজম প্রক্রিয়া আবার শুরু করার  সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে- ধীরে সহজপাচ্য খাবার খেয়ে শুরু করা| ফল বা ফলের জুস সহজপাচ্য| ফলে আছে অনেক ভিটামিন ও মিনারেলস, সারাদিন রোজা রেখে আমাদের শরীর এগুলোর জন্যে অপেক্ষ্যায় থাকে| তাছাড়া ফলে গ্লুকোসও  থাকে, যা সারাদিন রোজা রাখার পরে আমাদের শরীরে দরকার হয়| ফলে পানিও থাকে, তাই ফল শরীরে পানিরও চাহিদা মেটায়”|

তাই এই ফল দিয়ে একটি অত্যান্ত মুখরোচক ও জনপ্রিয় রেসিপি—ফলের চাট, আপনাদের জন্য দিলাম|

উপকরণঃ

আনার, পাকা পেঁপে, কলা, পেয়ারা, আম, আঙ্গুর, নাশপাতি, আপেল ইত্যাদি ফল সমানভাবে কিউব করে কাটা –দুই কাপ

লেবুর রস ১ টেবিল চামচ অথবা একটি মাল্টার রস

চাট মসলা ১ চা চামচ,

জিরো ক্যাল -১ টি স্যাসে বা চিনি ২ চা চামচ(ইচ্ছা–যদি ডায়বেটিস বা ওজনের সমস্যা না থাকে)

লবণ আধা চা চামচ/স্বাদমতো

কাবুলি চানা ১ কাপ(ইচ্ছা)

ভাজা তিল ১ চা চামচ(ইচ্ছা) অথবা ভাজা চিনাবাদাম –এক টেবিল চামচ (ইচ্ছা)

পুদিনা পাতা –এক টেবিল চামচ

প্রণালীঃ সব ফল সমান আকারে কিউব করে কাটুন। আনার ছাড়িয়ে দানা বের করে নিন| কাবুলি চানা লবণ দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিন। এবার সব ফল ও চানা, লবন, চিনি, চাট মশলা, লেবুর রস বা মাল্টার রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন| ১-২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশনের আগে চাইলে ভাজা তিল/ভাজা চিনা বাদাম ও পুদিনা পাতা ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

এই ফলের চাট রোজা ভেঙ্গে পানি/শরবত পান করে, তারপর খেতে পারেন| তাছাড়া সারা বছর যেকোনো সময় স্ন্যাক্স হিসাবেও খেতে পারেন|এতে আপনার পছন্দমতো যেকোনো ফল দিতে পারেন|

এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিকরও|এতে আছে ভিটামিন, মিনারেলস, পানি, আঁশ, শর্করা ইত্যাদি| কাবুলি চানা দিলে এই রেসিপি থেকে আমিষের চাহিদাও মিটবে|

রোজার খাওয়া দাওয়া, নমুনা ইফতার এবং সেহেরি, রোজার ব্যায়াম, ইফতারের খাবার গুলোর ক্যালরি মান–এই পোস্টগুলোও রোজায় আপনাদের অনেক উপকারে আসবে|

স্বাস্থ্যকর পানীয় পুদিনা লাচ্ছি রমজানের আরেকটি বিশেষ পানীয়ের রেসিপি, জানতে ক্লিক করুন|

মনে রাখবেন, রোজায় সুস্থ্য থাকতে পরিমিত খাওয়া, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, কর্মচঞ্চল থাকা, আর নিয়মিত ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া দরকার| রোজার মাস হতে পারে আমাদের সংযমী হয়ে খাওয়া ও ডায়েট করার একটি শিক্ষার মাস|

রোজায় সবার সুস্বাস্থ্য  কামনা করছি|

এই পোস্টটি কেমন লাগলো তা জানাবেন, ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন ও পোস্টটির রেটিং দিন|

ফিটনেস বাংলাদেশের লেখা ভালো লাগলে, ইমেইলে নিয়মিত নতুন পোস্ট পেতে উপরে ডান দিকে আপনার ইমেল ঠিকানাটি লিখে subscribe করুন|

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s